এইমাত্র
  • সরকারি হস্তক্ষেপে বিমানের টিকিট মূল্য কমলো ৭৫ শতাংশ
  • ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ ফিলিস্তিনির প্রাণ কাড়ল দখলদার ইসরায়েল
  • রোহিঙ্গা শনাক্তে ইসিকে ডাটা দেবে ইউএনএইচসিআর
  • সংস্কার বিষয়ে কাল এলডিপির সঙ্গে বসছে ঐকমত্য কমিশন
  • নতুন টাকায় থাকছে না ব্যক্তির ছবি: অর্থ উপদেষ্টা
  • ঈদে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর আসছে
  • তিন শিশুকে বলৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার
  • মাদক সেবনের দায়ে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জনের কারাদণ্ড
  • বাজিতপুরে আগুনে দোকান ভস্মীভূত, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ চৈত্র, ১৪৩১ | ২০ মার্চ, ২০২৫

    গভীর নলকূপ

    পানি ওঠছেনা ভোলার ১০ হাজার টিউবওয়েলের

    ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহরসহ ২১টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার ডিপ টিউবওয়েলে (গভীর নলকূপ) পানি না ওঠায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। অধিকাংশ বাড়িতে টিউবওয়েল অকেজো। কিছু টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করা গেলেও তা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে গিয়ে আনতে হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তীব্র দাবদাহে অধিকাংশ পুকুর, খালে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে অকেজো হয়ে পড়েছে টিউবওয়েলগুলো। ফলে সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে।

    পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, 'চরফ্যাশন শহরের চারপাশের খালগুলো অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণের কারনে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে তা শুকিয়ে গেছে। একসময় কৃষি কাজে খালের পানি ব্যবহার হতো। এখন খালে পানি না থাকায় সাবমার্সিবল পাম্প দ্বারা ভূগর্ভস্থ থেকে পানি সংগ্রহ কৃষি জমিতে ব্যবহার করতে হচ্ছে।'

    পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল বলেন, 'চরফ্যাশন শহরে জমির দাম বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের ৯৫ শতাংশ পুকুর ভরাট করে ফেলেছেন স্থানীয়রা। এতে ভূগর্ভে পানির স্তর কমে যাওয়ায় গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না। পরিবারের দৈনন্দিন রান্না, গোসলসহ অন্যান্য প্রয়োজনে পরিমাণ মতো পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।'

    উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন পৌরসভাসহ ২১টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৭৩টি হস্তচালিত নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮৫১টি সচল ও ২২২টি অকেজো রয়েছে। অদ্য পর্যন্ত ২৮টি মেরামত করা হয়েছে।

    এদিকে হস্তচালিত নলকূপের সংখ্যা উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের তথ্য মতে ১০ হাজার ৭৩টি হলেও সরেজমিনে এর পরিমাণ প্রায় চারগুণ। এ উপজেলার ৬০ শতাংশ বাসিন্দা নিজস্ব অর্থায়নে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বাসিন্দার নলকূপ অকেজো রয়েছে।

    বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর চরফ্যাশন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন মুঠোফোন বলেন, 'ভূগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলনের জন্য সাবমার্সিবল পাম্পের অনুমোদন আমার দেই না। মূলত খাল থেকে পানি তুলে কৃষি জমিতে দেওয়ার জন্য বিএডিসির ৮২টি সেচ পাম্প রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় ১ হাজার ৭১৮টি সেচ পাম্প দিয়ে খাল থেকে পানি তুলে কৃষি জমিতে দেওয়া হচ্ছে। যেসব কৃষি জমির পাশে খাল নেই কিংবা খালে পানি নেই, সেখানকার কৃষকরা অবৈধভাবে সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ থেকে কৃষি জমিতে সেচ দিতে পারে। তবে ওইসব অবৈধ সাবমার্সিবলের সংখ্যা জানা নাই।'

    উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ বলেন, 'গত বছরের চেয়ে এ বছর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে এমন সংকট দেখা দেয়। তবে বর্ষাকালে এ সমস্যা থাকে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসছে যে, হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি তুলতে পারছে না বাসিন্দারা। অপরিকল্পিত পুকুর ভরাটর করার কারনেও গভীর নলকূপগুলোতে পানি ওঠে না।'

    এমআর

    Loading…